Pearl (মুক্তা)
সংস্কৃত নাম মৌক্তিক বাংলায় মুক্তা নামে পরিচিত। এর বর্ন সাদা, হলুদ, বাদামী, সৌনালী, কালচে বর্ণের হয়ে তবে সাদা কুক্তাই সর্বশ্রেষ্ঠ। এর প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন প্রকার খনিজদ্রব্য মিশ্রিত থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক কর্কট রাশি ও চন্দ্র গ্রহের রত্ন। রাশিচক্রে চন্দ্র নিচস্থ পাপপীড়িত। পাপগ্রহের সাথে মুক্ত ও দৃষ্ট থাকলে এ ছাড়াও হাতে চন্দ্রের ক্ষেত্র নিচু কাটাকাটি, তিল, যব, বিন্দু, ক্রস, জাল প্রভৃতি চিহ্ন থাকলে মুক্তা ব্যবহার করা উচিৎ। মুক্তা বিভিন্ন জাতের বা প্রকারের হয়। যেমন শক্তি, শঙ্খ, গজ, বরাহ, মৎস, বংশ, সর্প ও ভেক মুক্তা। তন্মধ্যে শুক্তি মুক্তা বা ঝিনুকের মুক্তা সর্বাধিক পরিচিত। চন্দ্রের শুভ প্রভাবে জাতক জাতিকা পুষ্টিবান, বীর্যবান, সৌভাগ্যবান, মানসিক সুখ শান্তি, সন্দেহ প্রবণতা দুর করে, দেহের লাবন্যতা, প্রভৃতি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও চিকিৎসা বিদ্যার ও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মুক্তা বিশেষ অবদান রাখে। যেমন:- প্রসব বেদনা, দৃষ্টিহীনতা, বিষন্নতা, ঘনঘন সর্দিকাশি পারিবারিক অশান্তি, বৃক ধড়ফড় করা, বিবাহে বাঁধা ছাড়াও আয়ুবেদে মুক্তাভস্ম একটি মূল্যবান ফলপ্রদ ঔষধ। খাঁটি মুক্তা পরীক্ষা করতে পাথরের পাত্রে লবন, খার ও গোমুত্র মিশ্রিত করে মুক্তা সহ গরম করে ১ ঘন্টা পর তুলে তুষের ছাই দ্বারা ঘর্ষন করলে যদি রঙের বিকার না হয় তাহলে-সেটি শ্রেষ্ঠ মুক্তা বলে জানবেন। তবে যে মুক্তা আকাশের নক্ষত্রের ন্যায় উর্জ্জল, চকচকে, সুগোল, স্পর্শেশীতল অনুভুত হয় সেই মুক্ত শোধন করে ধারন করলে অশুভ চন্দ্র প্রকাশিত হয়ে প্রচুর ফল দান করে।
0 comments:
Post a Comment